মনির হোসাইন।।
কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
২৯ বছর পর চলতি বছরের ৩১শে ডিসেম্বর এ উপজেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ইতিমধ্যে ভোট চাইতে উপজেলার ২০৪ টি বিদ্যালয়ের ১২২৫জন ভোটার শিক্ষকদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এ নিয়ে সাধারণ মানুষ সহ শিক্ষকদের মাঝে বেশ আলোচনা ছড়িয়ে পরছে। নির্বাচনে তিনটি প্যানেল অংশগ্রহন করবেন উতিমধ্যে এই ৩ টি প্যানেল তাদের ব্যালট নং বরাদ্ধ পেয়েছেন। ৩টি প্যানেলে ৩৯টি পদের জন্য ৭৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা যায়, ২৯ বছর পর এই উপজেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন। ১৯৯৭সালের পওে এ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করা হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রার্থীরা প্রচারণা করতে পারবেন ৩০শে ডিসেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ শে ডিসেম্বর।
এ নিয়ে প্রার্থীদের সাথে কথা বললে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বি প্যানেলের বিরুদ্ধ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন। ৩নং ব্যালট রেবেকা সুলতানা ও জাকির হোসেন পরিষদের সভাপতি প্রার্থী রেবেকা সুলতানা বলেন, ১ নং ব্যালটের কাউসার ও বজলু পরিষদপ্যানেলের সভাপতি প্রার্থী কাউসার ভূঁইয়ার বিদ্যালয় হতে ৮ জন শিক্ষক বিভিন্ন পদে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার কারনে নির্বাচনের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যদি একই বিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষক প্রার্থী হওয়ার কারনে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। কেননা ৮জন শিক্ষক প্রচারণা করতে বেড়িয়ে গেলে ওই বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীকে পাঠদান করার মতো শিক্ষক থাকে না।
১নং ব্যালটের সভাপতি প্রার্থী মোবাইলে হুমকিসরƑপহুমকিস্বরূপ ভিভিন্ন কথা বলছেন নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য। আমরা মাঠে ভোটারদের যেভাবে সারা পাচ্ছি আশা করছি জয় আমাদের প্যানেলের হবে। ২নং ব্যালটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী জাকির হোসেন বলেন, নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। জয়ের ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী।
১ নং ব্যালটের কাউসার ও বজলু পরিষদের সভাপতি প্রার্থী কাউসার ভূঁইয়া বলেন, একাধিক প্রার্থী একই বিদ্যালয় থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে এ নিয়ে সমালোচনার কিছুই নেই। জয়ের ব্যাপারে মাঠে ভোটারের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। তাই আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রর্থীর মাঝে ভীতি কাজ করছে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় সিনিয়র সভাপতি ও মুরাদনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচনের আচরনবিধি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থী আমার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে নাই। যদি প্রার্থীদের কোন অভিযোগ আমাকে জানায় তাহলে নির্বাচনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে যারা ভোটার তারাই প্রার্থী হতে পারবেন অতএব একই বিদ্যালয় থেকে একাধিক প্রার্থী হতে পারবেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। সংগঠনের গঠনতন্ত্রঅনুযায়ী কোন প্রার্থী বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page